বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশে পরিবহণ ব্যবস্থা অনেক দিন ধরেই উন্নত। সফর কীভাবে আরও মসৃণ করা যায় তার জন্য গবেষণার শেষ নেই। বুলেট ট্রেনে দুনিয়াকে চমকে দেওয়া চিন এবার এনেছে নতুন এক ট্রেন। যে রেলগাড়ি ঝমঝম করে নিজস্ব লাইন দিয়ে ছুটবে না। রাস্তাতেই পথ খুঁজে নেবে। জাতীয় সড়ক দিয়ে চলা এই ট্রেন দৌড়বে ভারচুয়াল ট্র্যাকে। এর জন্য রাস্তাতে থাকছে এক বিশেষ সেন্সর। যার মাধ্যমে ট্রেন গন্তব্যের দিকে এগোবে। চিনের হুনান প্রদেশের ঝুঝৌ শহর এই ট্রেনের ট্রায়াল রানের সাক্ষী ছিল। শনিবার পরীক্ষামূলকভাবে চলে এই ভারচুয়াল ট্র্যাকের ট্রেন। প্রথম পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর চিনা রেল কর্পোরেশন আগামী বছরের শুরুতেই এই ট্রেন পথে নামাতে চাইছে। প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই ট্রেনের যাত্রী বহনক্ষমতা ৩০৭ জন। দুই থেকে চার কামরার এই ট্রেন মূলত স্বল্প দূরত্বের জন্য ব্যবহার হবে।
এবার বিশ্বকে তাক লাগিয়ে চিনের রাস্তায় চলতে যাচ্ছে ট্রেন। যার কোন লাইন এর প্রয়োজন হবে। দরকার নেই আলাদা ট্র্যাক পাতার । রাজপথেই হু হু করে দৌড়াবে ট্রেন। ভারচুয়াল ট্র্যাকের উপর দিয়ে ট্রেনের দৌড় দুনিয়াকে প্রথম দেখাল চিন। হুনান প্রদেশে প্রথম পরীক্ষায় সসম্মানে পাশ করেছে এই ট্রেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০১৮-এর শুরুতেই সরকারিভাবে পথে নামছে চিনের অত্যাধুনিক ট্রেন।
হুনানের ট্রায়াল রান ভরসা দিয়েছে চিনা রেল কর্পোরেশনকে। দেশের অন্যান্য শহরেও এই দূষণহীন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাঁচ বছর আগে থেকে এর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। বিশেষ এই ট্রেনটির চাকা রাবারের, যা প্লাস্টিকে মোড়া। ট্রায়াল রানের জন্য ঝুঝৌ শহর বেছে নেওয়ার কারণ এখানকার ট্রাফিকের অবস্থা। চিনের আর পাঁচটা শহরের থেকে ঝুঝৌয়ের যানজটের সমস্যা খানিকটা কম। এই মেগা প্রকল্পের জন্য খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৭০ কোটি ইউয়ান।
চিনের রেল দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি অন্তত ২৫ বছর ট্রেনটি দিব্যি চলবে। তবে বুলেট ট্রেনের মতো নয়, গতিতে এই ট্রেন নেহাতই শিশু। ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে দৌড়ায় ভারচুয়াল ট্র্যাকের ট্রেন। ইলেকট্রিকে চলা এই ট্রেন মিনিট দশেক চার্জ পেলে আরও ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে।
No comments: