sponsor

sponsor
এস,এস কানেকশনস্. Theme images by kelvinjay. Powered by Blogger.

Slider

Updates

updates

National News

News

More News

Life & style

Games

Sports

World News

» »Unlabelled » কাউন্সিলর রুমকির পরকীয়ার কাহিনী ফাঁস!


বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণের পর সালিশের কাউন্সিলর রুমকির পরকীয়ার কাহিনী ফাঁস!

বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণের পর সালিশের নামে মা-মেয়েকে মাথা ন্যাড়া করার ঘটনার পর আলোচনায় উঠে আসে পৌরসভার কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি।  সেই সাথে একে একে বের হয়ে আসতে থাকে মাদক ব্যবসা থেকে পরকীয়াসহ তার নানা অপকর্মের কাহিনী। 

বগুড়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম রতনসহ একাধিক কাউন্সিলরের সঙ্গে রুমকির অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।  এমনকি পুরুষ কাউন্সিলরদের রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে থাকতেন এই নারী কাউন্সিলর।  এসব কর্মকাণ্ডের কারণে তার ওপর অন্যান্য নারী কাউন্সিলররা প্রচণ্ড বিরক্ত।  এমনকি অনেকে সম্মান রক্ষায় রুমকির সঙ্গে কথাও বলেন না।  রুমকি থাকলে তার বেলাল্লাপনার জন্য পৌরসভা থেকেও বেরিয়ে যান তারা। 

এসব কারণে প্রভাবশালী এক কাউন্সিলর রতনকে পৌরসভায় আসতে নিষেধ করে।  ফলে কাউন্সিলর রতন পৌরসভায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া আসেন না।  তবে কাউন্সিলর রতন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রুমকির সঙ্গে তার ভাই-বোনের সম্পর্ক।  সন্তানের অসুস্থতার কারণে পৌরসভায় যান না তিনি।  রুমকির সঙ্গে তার অন্য কোনো সম্পর্ক নেই।  কেউ শত্রুতাবশত এসব বলেছেন বলেও জানান তিনি। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক জনপ্রতিনিধি অভিযোগ করেন, বেশ কয়েক বছর আগে রুমকি বগুড়া পৌরসভার নগর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্পের বাদুড়তলা কুলিপট্টি সিডিসির ক্যাশিয়ার ছিলেন।  ওই সময় তিনি শুধু এলাকায় নয়; পৌরসভাতে গিয়েও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করতেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৫ সালে পৌরসভার নির্বাচনে ভগ্নিপতি ‘তুফান বাহিনীর’ সহায়তায় ২ নম্বর সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর হন রুমকি।  এরপর থেকেই রুমকি বেপরোয়া হয়ে উঠেন।  পৌরসভায় সেবা নিতে আসা জনগণের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা নেয়া এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে শুরু করেন। 

অভিযোগ রয়েছে, বগুড়া পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কোনো নাগরিক তার বাড়ি নির্মাণ, সংস্কারসহ অন্যান্য কাজ করলে রুমকিকে বাধ্যতামূলক চাঁদা দিতে হয়।  চাঁদা না দিলে কাজ করতে দেন না তিনি।  পৌর এলাকায় বিলবোর্ড স্থাপনসহ যে কোনো কাজে তাকে চাঁদা দেয়া বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

একসময় পৌরসভাতে ত্রাস হিসেবে পরিচিত পান তিনি।  স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতাসীন দলের নেতা এবং বিত্তবান হওয়ায় তিনি কাউকে পাত্তাই দিতেন না। 

তার বিরুদ্ধে পৌরসভার যে কোনো কাজের বিনিময়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া, মাদক ব্যবসাসহ নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  তার কারণে এক কাউন্সিলরকে পৌরসভায় আসা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। 

এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় রুমকি, তার মা, বাবা, বোন, ভগ্নিপতি ও তাদের সহযোগীরা গ্রেফতার হওয়ায় এলাকা এবং পৌরসভায় স্বস্তি দেখা দিয়েছে।  শহরের চকসুত্রাপুর ও বাদুড়তলা এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বললে অনেকে রুমকি, ভগ্নিপতি তুফানসহ অন্যদের গ্রেফতারে সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

এলাকাবাসীরা বলেন, রুমকির কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে।  গ্রেফতার হওয়ায় আমরা খুশি। 

বগুড়া জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ডালিয়া নাসরিন রিক্তা জানান, ‘জনপ্রতিনিধি হবার পরও রুমকি যে বর্বরোচিত কাজ করেছেন, তা ক্ষমার অযোগ্য। ’

তিনি ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষিতা ও তার মাকে মারধর এবং ন্যাড়া করে দেয়ার ঘটনায় জড়িত তুফান, রুমকি ও অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।  এছাড়া ওই পরিবারকে আওয়ামী রাজনীতির বাইরে রাখতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন জেলা যুব মহিলা লীগের এই নেত্রী। 

সর্বশেষ গত ২৮ জুলাই এক ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতন এবং মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে আলোচনায় এসেছেন কাউন্সিলর রুমকি।  এ ঘটনার মামলায় রোববার রাতে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালত সোমবার তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকেলে কলেজে ভর্তি ইচ্ছুক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার।  বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ও তার সহযোগীরা দলীয় ক্যাডার ও এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন।  চার ঘণ্টা ধরে তারা ছাত্রী ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান।  এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন। 

এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেন। 

«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply