দীর্ঘ রোগভোগের পর গত শুক্রবার মৃত্যু রামলুলুর স্ত্রীর ৪৬ বছরের কবিতার। তেলেঙ্গানার সেঙ্গারেড্ডি গ্রামে তাঁদের বাড়ি হলেও সম্প্রতি হায়দরাবাদে এসেছিলেন ভিক্ষাজীবী এই দম্পতি। কোনও একটি এনজিও ভিক্ষাজীবীদের পাঁচ কেজি করে চাল বিলি করছে, এই খবর পেয়েই শহরে আসেন তাঁরা। কিন্তু এনজিও-তে নাম লেখানোর দিনই মৃত্যু হয় কবিতার। স্ত্রীর দেহ গ্রামে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে গাড়ি চেয়ে আবেদন করেন রামলুলু। কিন্তু গাড়ি ভাড়া হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে সেই হাসপাতাল। সারা দিন ভিক্ষে করে আধপেটা খেয়ে থাকা রামলুলুর পক্ষে এত টাকা দেওয়া ছিল অসম্ভব ব্যাপার।
তাই নিজের ঠেলাগাড়িতেই স্ত্রীর দেহ চাপিয়ে ১৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কুষ্ঠরোগী রামলুলু। ভিকারাবাদে যখন তিনি পৌঁছন, তখন পেরিয়ে এসেছেন ৮০ কিলোমিটার রাস্তা। কিন্তু কষ্টে, যন্ত্রণায় রাস্তার ওপরেই বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসহায় প্রৌঢ়। পথচলতি কয়েকজন মানুষ তাঁকে ওই অবস্থায় দেখে এবং সঙ্গে একটি মৃতদেহ রয়েছে বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয় থানার সাব ইন্সপেক্টর রবি কুমারের সাহায্যে শেষ পর্যন্ত জোগাড় হয় অ্যাম্বুলেন্স।
রামুলু গ্রামে স্ত্রীকে নিয়ে গেলেও আত্মীয়স্বজনের সাহায্য পাননি। কুষ্ঠরোগী কবিতার দেহ স্পর্শ করতে রাজি হয়নি রামুলুর পরিবার। একাই স্ত্রীর অন্ত্যেষ্টি করেন রামুলু।








No comments: