sponsor

sponsor
এস,এস কানেকশনস্. Theme images by kelvinjay. Powered by Blogger.

Slider

Updates

updates

National News

News

More News

Life & style

Games

Sports

World News

» »Unlabelled » বাড্ডায় তানহা নামের চার বছরের এক শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা!!

বাড্ডায় তানহা নামের চার বছরের এক শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা!!

রাজধানীর বাড্ডায় তানহা নামের চার বছরের এক শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার সকালে এ ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের বিষয়টি ডিএমপি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রাজধানীর বাড্ডায় শিশু ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ শিপন। ৩০ জুলাই রাতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।’

এর আগে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় চার বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ করে পরিবারের সদস্যরা। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় বাড্ডার আদর্শনগরী এলাকায় তাদের বাসার বাথরুমের সামনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বাড্ডা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।

আজ সোমবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় , রোববার বিকালে বাড্ডার আদর্শনগরের ৪ নম্বর সড়কের পাশে একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পাশবিক নির্যাতনের পর শিশুটিকে পাশের বাড়ির বাথরুমে ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রোববার রাতে বাড্ডা থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, মধ্যবাড্ডার ৪ নম্বর রোড এলাকার আদর্শনগরির ৩৬০ নম্বর বাসায় শিশু তানহার পরিবার ভাড়া থাকে। ওই বাসাটির বাথরুম বাসার বাইরে অবস্থিত। গতকাল সন্ধ্যায় পরিবারের লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে বাথরুমের সামনে থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, শিশুটির পরিবার অভিযোগ করেছে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশটি ঢামেক হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শিশু তানহার বাবা মেহেদী হাসান প্রাইভেটকার চালক। মা সুলতানা বেগম গৃহিণী। তারা একমাত্র মেয়ে তানহাকে নিয়ে মধ্যবাড্ডার আদর্শনগর এলাকার মিনহাজ মিয়ার বাড়িতে থাকেন।

শিশুটির মা সুলতানা বেগম জানান, তারা যে বাড়িতে থাকেন ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন কলি নামে এক নারী ও তার স্বামী। তারা দু’দিন আগে এ বাসা থেকে ১০০ গজ দূরে পাশের বাড়িতে ভাড়ায় উঠেছেন।
তিনি বলেন, রোববার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তানহা আমাকে বলে কলি আন্টির বাসায় বেড়াতে যাব। আমি বলি যাও, তাড়াতাড়ি চলে এসো। বাসা থেকে বের হওয়ার পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও ফিরছিল না তানহা।

সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে পাশের বাড়ির এক নারী বাথরুমে যান। তিনি দেখেন টয়লেটের কমোডে মাথা গোজানো অবস্থায় পড়ে আছে তানহা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি এসে খবর দেন। এরপর গিয়ে দেখি মেয়ে আমার সেখানে পড়ে আছে।

তিনি জানান,যখন দেখলাম মেয়ের গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রথমে স্থানীয় মেডিলিংক হাসপাতালে নিয়ে যাই, তারপর আল সামি ক্লিনিক এবং পরে বাড্ডা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু কোনো হাসপাতালের চিকিৎসকই দেখতে রাজি হলেন না। তাদের একই কথা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে বুঝতে পারলাম আমার মেয়ে মারা গেছে।

এরপর তাকে বাসায় নিয়ে আসি। ওই বাড়ির পাশের আরেকটি বাসায় বসে আছেন তানহার বাবা মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে বের হয়ে যাই, ফিরি রাতে। আমারতো কোনো শত্রু নেই। এই বাসায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে আছি। কিন্তু কে আমার এমন সর্বনাশ করল। আমার মেয়ে গেছে, আরতো মেয়ে পাব না। আমি আমার মেয়ে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

বাড্ডা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গুলশান জোনের ডিসি মোস্তাক আহমেদ বলেন, শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে এটা নিশ্চিত। তবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।

তিনি বলেন, ঘাতক শনাক্ত করতে পুলিশ, ডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। আশা রাখি শিগগিরই ঘাতককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে পারব।
বাড্ডায় তানহা নামের চার বছরের এক শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা

«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post

No comments:

Leave a Reply