বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা গ্রামের বাসিন্দা ফরিদ হাওলাদারের ছেলে সোহেল রানা (৩২)। পেশায় একজন মোটর মেকানিক। পুরাকাটা ফেরিঘাটে ‘মায়ের দোয়া’ নামে একটি মোটরসাইকেল সার্ভিস সেন্টার গড়ে তোলেন তিনি। মাস ছয়েক আগে মোটরসাইকেলের পুরনো বডি ব্যবহার করে দ্রুত গতিসম্পন্ন স্পিডবোট তৈরি করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। এবার তিনি নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করছেন হেলিকপ্টার।
জানা যায়, চার ভাই বোনের মধ্যে সোহেল সবার বড়। ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। অর্থাভাবে বেশি লেখাপড়া বেশি দূর এগোয়নি। প্রথম জীবনে ট্রলারে মানুষ পারাপার করে শুরু হয় তার কর্মজীবন। কিছুদিন পর ট্রলার ডাকাতি হয়ে গেলে শুরু করেন মেকানিকের কাজ। বরগুনা পুরাকাটায় গড়ে তোলেন ‘মায়ের দোয়া’ নামে একটি মোটরসাইকেল সার্ভিস সেন্টার। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকা খরচ করেছেন হেলিকপ্টারের বডি ও পাখা তৈরির কাজে। আর মেশিন কেনার টাকা না থাকায় তার আবিষ্কৃত স্পিডবোটের মেশিন খুলে হেলিকপ্টারে লাগিয়ে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের চেষ্টায় ভালোভাবে সফল হতে পারেননি তিনি।
সোহেল রানার মা রেনু বেগম বলেন, ‘স্পিডবোট তৈরি করতে গিয়ে অনেকের বাজে কথা শুনতে হয়েছে তার ছেলেকে। স্পিডবোট তৈরির পর অনেকেই ভরসা পেয়েছেন যে সোহেল আরো কিছু করতে পারবে। আর হেলিকপ্টারের পাখা যখন ঘুরছে তখন মন খুইলা কান্দন আইছে, তহন মনে হইছে আরে যদি পরালেহা করাইতে পারতাম।’
সোহেল রানা জানান, ‘তার এই প্রযুক্তিতে হেলিকপ্টার আকাশে উড়াতে হলে উন্নত পাখা ও মেশিনসহ আরো কিছু যন্ত্রাংশ দরকার। কিন্তু টাকার অভাবে সেসব যন্ত্রাংশ কিনতে পারছেন না।’
‘বিষয়টি শুনেছি। তবে লিখিতভাবে সাহায্য চাইলে বরগুনা জেলা প্রশাসন অবশ্যই সোহেলের পাশে থাকবে বলে জানান বরগুনা জেলা প্রশাসক ড. মোহা. বশিরুল আলম।’
No comments: