টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশ
পড়েছিল চাপের মুখে। প্রথম ওভারেই শূণ্য রানে সাজঘরে ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সাব্বির রহমান শুরু করেছিলেন আগ্রাসী ব্যাটিং।
কিন্তু তিনিও খুব বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। সপ্তম ওভারে আউট হয়ে
গেছেন ১৯ রান করে। তবে তৃতীয় উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়ে দারুনভাবে ঘুরে
দাঁড়িয়েছিলেন তামিম ও মুশফিক। স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বড় সংগ্রহের। কিন্তু ২৮তম
ওভারে এই জুটি ভাঙার পর বাংলাদেশ আবার পড়েছিল ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে। শেষ
২০ ওভারে বড় কোনো জুটিই গড়ে তুলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ-সাকিব-সৈকতরা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেই বাংলাদেশ গড়েছে ইতিহাস। আজ শেষ চারের লড়াইয়ে ভারতকে হারাতে পারলে চলে যাবে নতুন উচ্চতায়। কিন্তু সেই লক্ষ্যে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সংগ্রহটা প্রত্যাশা অনুযায়ী বড় করতে পারলেন না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তামিম ইকবালের ৭০ ও মুশফিকুর রহিমের ৬১ রানের ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৬৪ রান। শেষপর্যায়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা খেলেছেন ৩০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস। ভারতকে এই রানের মধ্যে আটকে রাখতে হলে আজ জ্বলে উঠতে হবে বাংলাদেশের বোলারদের।
৩৫ থেকে ৪৫; এই ১০ ওভারের মধ্যে বাংলাদেশ
হারিয়েছে চারটি উইকেট। ১৫ রানের ছোট দুটি ইনিংস এসেছে সাকিব আল হাসান ও
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাট থেকে। ২১ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ।
শেষপর্যায়ে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ৩০ ও তাসকিন আহমেদের ১১ রানের
ইনিংসে ভর করে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৬৪ রান।
প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় কোনো
প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল খেলতে নেমে শুরুতে ভাগ্যের সহায়তা পায়নি বাংলাদেশ
অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন
ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।
মাশরাফি স্বীকার করুন আর নাই করুন, আজকের
ম্যাচটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ও কাঙ্ক্ষিত
ম্যাচ। এর আগে কখনই কোনো ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে পারেনি টাইগাররা।
নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে কয়েকদিন আগেই সেই ইতিহাসের পথে হেঁটেছে মাশরাফির দল।
এখন ইতিহাসে অমরত্বের পথে বাংলাদেশের এই দলটি। আজকের সেমিফাইনালটি জিতলেই
প্রথমবারের মতো কোনো আসরে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
আজকের ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে
নামছে ভারত ও বাংলাদেশ। এবারের টুর্নামেন্টে হার দিয়ে যাত্রাটা শুরু করে
বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বড় সংগ্রহ করেও হারতে হয়
মাশরাফিদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা পরিত্যক্ত হলে চাপে পড়ে যায়
বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ উইকেটে
হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে যায় লাল- সবুজের দল। তবে শেষ চার
নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া
ম্যাচের ফলাফলের দিকে। সেই ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৪০ রানের দারুণ
জয় পায় ইংল্যান্ড। যার ফলে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ওঠেন
মাশরাফিরা।
অপরদিকে দুর্দান্ত শুরু করলেও মাঝখানে খেই
হারিয়ে ফেলে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতলেও
পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কবার কাছে হেরে যায় কোহলির দল। সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য
তাই গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না দলটির। সেই
ম্যাচে প্রোটিয়াদের আট উইকেটে হারিয়ে সেমিতে উঠে যায় আসরের অন্যতম শিরোপা
প্রত্যাশী দল ভারত
No comments: