রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১২ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টির এই প্রবল ধারায় নগরজুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। নগরের প্রধান প্রধান সড়ক ও অলিগলি পানিতে তলিয়ে গেছে। এমনকি নিচু এলাকার বাড়িঘরও পানিতে সয়লাব। তবে বৃষ্টির পানিতে অনেকেই বিভিন্ন সড়কে জাল নিয়ে নেমে পড়েছেন মাছ ধরতে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক রাজীব খান জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ১১২ দশমিক ৪ মিলিমিটার। এটি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার পর থেকে রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। কখনো মুষলধারে, কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। সকালেও ছিল সেই বৃষ্টি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অফিসগামী ও স্কুল-কলেজগামী লোকজন। বেলা একটার পর বৃষ্টি থামলেও আকাশে মেঘের ঘনঘটা রয়েই গেছে। যেকোনো সময় আবার বৃষ্টি নামতে পারে।
আরেকটু পানি বাড়লে চাপকল থেকে পানি নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই সময় থাকতেই ঘরে খাবারের পানি নিয়ে রাখছে একটি পরিবার। ছবিটি নগরের সাধুর মোড় এলাকা থেকে তোলা। ছবি: শহীদুল ইসলাম
বৃষ্টির পর নগর ঘুরে দেখা গেছে, নগরের উপশহর, তেরোখাদিয়া, বিলসিমলা, দরিখরবোনা, হেতেম খাঁ, সাগরপাড়া, সাধুর মোড়, সাহেববাজার, কাশিয়াডাঙ্গা, তালাইমারী, কাজলা, ছোট বনগ্রামসহ নগরজুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সড়কগুলো। জলাবদ্ধতার কারণে যানবাহন চলাচল করতেও ব্যাপক বেগ পেতে হয়। আর হেঁটে যাওয়া মানুষের দুর্ভোগের শেষ ছিল না। নিচু এলাকার শত শত বাড়িতেও পানি উঠে যায়। শহরের বিভিন্ন পুকুর, খাল-বিলের পানি ভেসে গেছে। সেই পানির সঙ্গে মাছও চলে এসেছে লোকালয়ে। তাই অনেকে শখের বশে জাল নিয়ে মাছ ধরতে নেমে গেছেন সড়কগুলোতে। ধরা পড়েছে অনেক মাছও। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি নামতে শুরু করেছে।
নগরের উপশহর এলাকার বাসিন্দা সোহেল বলেন, ভারী বৃষ্টিপাতে উপশহর যেন নদীতে পরিণত হয়। একই অবস্থা দরিখরবনা এলাকাতেও দেখা যায়।
No comments: